ঢাকা,সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

চকরিয়া নিউজ ডেস্ক ::  ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে দেশের মানুষের যেনো বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে ঝড় মোকাবিলায় সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথাও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ঝড় মোকাবিলার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি আমাদের নেওয়া আছে। এমনকি ঝড় পরবর্তী রিলিফ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি আমরা নিয়েছি।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় শ্রমিক লীগের ১৩ তম কেন্দ্রীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যের শুরুতে তিনি এসব কথা বলেন।

শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু গৃহীতি বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা কৃষক, শ্রমিক, সরকারি ও বেসরকারি সবাইকে একত্রিত করে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন। এর মধ্য দিয়ে দল মত নির্বিশেষে সকলকে এক প্লাটফরমে নিয়ে এসে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি। দ্রুত অর্থনৈতিক মুক্তি লাভের জন্য তিনি যে প্লাটফরম নিয়েছিলেন তাই ছিল বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ। যাকে অনেকেই বলে বাকশাল। সে সময় বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছিল। প্রবৃদ্ধি ছিল সাতের উপরে। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে চলে গিয়েছিল। আমাদের দুর্ভাগ্য সে সময়ে এলো চরম আঘাত। ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করা হলো। আমরা দুবোন বিদেশে ছিলাম বলে বেঁচে গিয়েছিলাম। সেটা যদি চালু হত তাহলে আমাদের এত পিছিয়ে থাকতে হতো না।

সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলে মানুষ উন্নয়নের সুফলটা পাচ্ছে। মানুষ উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখছে। শিল্পায়ন এগিয়ে যাচ্ছে। শ্রমিক সমাজের ভাগ্যোন্নয়নে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনি কাজ করে যাচ্ছে। কাজ করে যাবে।

শ্রমিকদের জন্য গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, শিশুশ্রম যাতে নিরসন হয় সেজন্য শিশুশ্রম নিরসন নীতিমালা ২০১০, বাংলাদেশ শ্রম নীতিমালা ২০১২ আমরা প্রণয়ন করেছি। ১৭০ কোটি টাকার বিমা জমা আছে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য। ৪২টি সেক্টরের শ্রমিকদের জন্য বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু হয়েছে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রমিকদের জন্য ৫ শতাংশ হারে বেতন বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১০ টাকায় ৫০ লাখ মানুষকে চাল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছি। গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে আমরা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো জোহানেস পউটিয়ানে, আইটিইউসি-এপির জেনারেল সেক্রেটারি শোয়া ইয়োশিদা ও সার টুক এর জেনারেল সেক্রেটারি লক্ষণ বাহাদুর বাসনেট।

পাঠকের মতামত: